বহুল প্রচলিত ওয়েল্ডিং পদ্ধতির বর্ননা

এসএসসি(ভোকেশনাল) - জেনারেল মেকানিক্স- ২ - দ্বিতীয় পত্র | NCTB BOOK

২.২.১ শিল্টেড মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং- এ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রোড এবং কার্ষবস্তুর মধ্যে বৈদ্যুতিক আর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে তাপ সৃষ্টি করে ধাতুকে পূর্ণ পলিত জবস্থায় এনে জোড়া দেয়ার কাজ সম্পাদিত হয়। এক্ষেত্রে ইলেকট্রোড নিজে গলে জোড়ার স্থানে পরিপুরক ধাতু সরবরাহ করে অথবা আলাদা পরিপুরক ধাতু সরবরাহ করা হয়।

২.২.২ স্পট ওয়েন্ডিং-এর কার্যনীতি- স্পট ওয়েন্ডিং মেশিনে দুটি আমার তৈরী রকার আর্মস বা ইলেকট্রোড থাকে। একটি পজেটিভ (+) টারমিনাল অপরটি নিগেটিভ (-) টারমিনাল। এই দু'টি ইলেক্ট্রোডের মধ্যে একটি চলনশীল আর অন্যটি স্থির (Fixed)। বিদ্যুৎ প্রবাহ এই দু'টি ইলেকট্রোডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।

যে অংশটি জোড়া দেওয়া হবে সেই খাছু পাতের দুটি একটির উপর অন্যটি অর্থাৎ ওভারল্যাপিং (Overlapping) অবস্থায় রেখে নিগেটিভ (-) পজিটিভ (+) ইলেকট্রোডের বা রকারের কিদুটিতে রেখে হালকা চাপ দিলে ইলেকট্রোডের দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৰাধা পেয়ে সামান্য উত্তাপে স্থানটি স্পটেড বা একটি বিন্দুতে আটকে যায়।

বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে গলিত উপাদানের 'নাপেট' (Nugget) সংযোগস্থলকে শক্ত করে দেয়। তাপ উৎপাদনের জন্য ভাসার ইলেকট্রো উপকরণসমূহের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রেরণ করে। তাল উৎপাদন নির্ভর করে বৈদ্যুতিক রোধ, ধাতুর ভাগ পরিবাহকত্ব এবং ভড়িৎ প্রবাহ চলার সময়ের উপর। 

বিজ্ঞানী জুল (Joule) এর তাপীয় সূত্র অনুসারে, উৎপন্ন তাপ নিচের সমীকরণ দ্বারা প্রকাশ করা হয়-

H=I2xRxT

এখানে, H = উৎপাদিত মোট ভাগ (ভুল)

I = তড়িৎ প্রবাহ (জ্যাম্পিয়ার)

R = তড়িৎ রোধ (ওহম) এবং

T – তড়িৎ প্রবাহের সময় (সেকেন্ড)

অন্যান্য ধাতুর তুলনায় কপারের রোধ কম ও ভাল পরিবাহী ক্ষমতা বেশি হওয়ায় স্পট ওয়েল্ডিং এ একে ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে যে ভাগ উৎপন্ন হয়, তা ইলেকট্রোড এ না হয়ে বেশি রোধবিশিষ্ট কার্যবস্তুর মধ্যেই হয়।

Content added By
Promotion